এপ্রিল ১৬, ২০২৫

‘ভুয়া এক্সরে প্রতিবেদনে’ মামলা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষকসহ আসামিরা

fcj-20250406175448
নিজস্ব সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরে হাত ভাঙার ভুয়া এক্স-রে প্রতিবেদন দেখিয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অন্য একজনের এক্সরে প্রতিবেদন নকল করে মামলার বাদী রুবিনা ইয়াছমিন ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এদিকে ভুয়া হাত ভাঙার প্রতিবেদনে দায়েরকৃত মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রভাষক কলেজ শিক্ষক খোকন আলমসহ অভিযুক্ত অন্যরা। ঈদ আনন্দ বিলীন হয়ে গেছে শিক্ষক পরিবারের। ঈদের দিন ঘরে চুলাও জ¦লেনি বলে দাবি খোকনের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা দিল আফরোজা। রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে দিল আফরোজা ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী রুবিনা একই এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী খোকন একই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
দিল আফরোজা বলেন, রুবিনা ইয়াছমিনদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা মামলা রয়েছে। ২৫ মার্চ ঘরে ঢুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রুবিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তিনি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে ফেয়ার ডাগনস্টিক সেন্টারের একটি এক্সরে প্রতিবেদন দেখিয়ে সদর হাসপাতাল থেকে পুলিশ কেইসের টোকেন নেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনটি ভুয়া ছিল। লিপি আক্তার নামে এক রোগীর প্রতিবেদনের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে রুবিনা মামলার জন্য মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে। মূলত রুবিনার হাত ভাঙেনি। আমার স্বামীকে ফাঁসাতে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
ফেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম ও কম্পিউটার অপারেটর নন্দ দুলাল সরকার স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে রুবিনার এক্স-রে প্রতিবেদনটি ভুল বলে সত্যতা দেওয়া হয়। নন্দ দুলাল সরকার বলেন, রুবিনার সাথের লোক আমাকে ভুল বুঝিয়ে অন্য একজনের এক্সরে প্রতিবেদন নিয়ে গেছে। মূলত তিনি কোন এক্স-রে করেননি।
রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমার হাত ভেঙেছে। আমি মামলা করেছি। এক্স-রে প্রতিবেদন সঠিক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, মামলার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
নিউজটি শেয়ার করুন:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *